আগ্নেগিরির কারণে আতঙ্কে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম সুমাত্রার মানুষ। রোববার থেকে সক্রিয় হয়ে উঠেছে মাউন্ট মারাপির আগ্নেয়গিরি। ওই সময় সেখানে অবস্থান করছিল ৭৫ জন। এর মধ্যে ১১ জন পর্বতারোহীর মৃত্যু হয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ১২ জন। তাদের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান শুরু করা হলেও পরে নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে অভিযান সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, রোববার ২৮৯১ মিটার (৯৪৮৫ ফুট) উঁচু আগ্নেয়গিরিটি ছাই উদ্গিরণ শুরু করে যা ৩ কিলোমিটার পর্যন্ত উচ্চতায় উঠে যায়।

সুমাত্রা দ্বীপের মাউন্ট মারাপি আগ্নেয়গিরি থেকে ছাই আকাশের প্রায় তিন হাজার মিটার ওপর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে এবং এসব ছাই আশপাশের গ্রামগুলোতে পড়ে। সেখানে রোববার এ অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়।

স্থানীয় এবং জাতীয় সংস্থার কর্মকর্তারা সপ্তাহান্তে পর্বতে ভ্রমণকারীর সংখ্যা সংশোধন করে ৭৫ জনের কথা জানিয়েছে। কিন্তু অনুসন্ধান দল সোমবার সকালে অগ্নিমুখের কাছ থেকে ১১ জনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেছে।

অগ্ন্যুৎপাত শুরু হওয়ার এক দিন পর পাদদাং অনুসন্ধান ও উদ্ধার সংস্থার প্রধান আব্দুল মালিক জানান, ‘সেখানে থাকা ২৬ জনকে সরিয়ে নেয়া হয়নি। আমরা তাদের মধ্যে ১৪ জনকে খুঁজে পেয়েছি। এদের মধ্যে তিনজনকে জীবিত এবং ১১ জনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে।’

তিনি জানান, ২৬ জনের মধ্যে ১২ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছে। এছাড়া ৪৯ জন পাহাড় থেকে নেমে এসেছে। তাদের কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, জীবিত অবস্থায় তিন ব্যক্তিকে অগ্নিমুখের কাছে পাওয়া যায়। তাদের অবস্থা দুর্বল ছিল এবং শরীরের কিছু অংশ পুড়ে গেছে।